Jump to content
IslamicTeachings.org

সীমান্তে ভারতীয় নিপীড়ণ এবং আমাদের আত্মসম্মানের সন্ধানে


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

Asalamu'alaikum

 

 

 

 

 

 

সীমান্তে ভারতীয় নিপীড়ণ এবং আমাদের আত্মসম্মানের সন্ধানে

 

 

আরিফ জেবতিক

 

 

 

 

 

জানুয়ারী ২২, ২০১২

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুক প্লাবিত করে শত শত মানুষ যখন বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন, তখনও খবরটি আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারিনি।

 

 

 

 

 

 

 

নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিডিনিউজের ওয়েব সাইটে চোখ রেখে এবং আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের ওয়েব সংবাদ পড়ার পরে আমি কিছুটা আশ্বস্থ হতে পারছি যে আমাদের সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সীমান্তে ‘যা হচ্ছে’ তা নিয়ে রাষ্ট্র ‘খুব বেশি চিন্তিত নয়’।

 

 

 

 

 

তিনি আরো বলেছেন, ‘“প্রতিনিয়ত ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব অতীতে ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে।” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘তিলকে তাল না করার’ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

 

খবরটি পড়ে আমার খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করল যে এটি আসলে একটি ভুল খবর, সহকর্মী সাংবাদিকরা ঠিক মতো রিপোর্ট করতে পারেননি। কারণ যেদিন তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন সেদিনই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক হাবিলদার লুৎফরকে ২১ ঘন্টা বন্দি রেখে পিটিয়ে প্রায় আধমরা করে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের দিনেই যশোরের ধান্যখোলা সীমান্তে আরেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এর ঠিক আগে আগে প্রকাশিত হয়েছে একটি মোবাইল ভিডিও চিত্র যেখানে দেখা গেছে বাংলাদেশী এক নাগরিককে উলঙ্গ করে পিটিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি করে ফেলছে একদল বিএসএফ।

 

আমি বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবছি, এই সময়ে কীভাবে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলতে পারেন যে, “প্রতিনিয়ত ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব অতীতে ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে।”দায়িত্বশীল নেতানেত্রীদের স্মরণ রাখা উচিত যে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব, আগামীতে বাংলাদেশের আরো নাগরিক মারা যাবেন এমন ভবিষ্যতবাণী করা নয়।

 

আমাদের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা এবং আমলাদের বক্তব্য ও আচরণ দেখে মনে মনে বলি, বিচিত্র কী এই দেশের মানুষকে আমাদের প্রতিবেশী দেশ মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না। যে রাষ্ট্রযন্ত্র তার নিজের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না বরং উদাসীন হয়ে উঠে, সে দেশের মানুষ এভাবে উলঙ্গ হয়ে প্রতিনিয়ত মার খাবে এবং সেই ছবি ইন্টারনেটে এবং টেলিভিশনে ভিড় করে বিশ্ববাসী দেখবে, এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে।

 

বিজ্ঞজন তর্ক করে বলতে পারেন যে, বিশেষ করে নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটছে ভারতের অভ্যন্তরে, যেখানে বাংলাদেশের চোরাচালানকারীরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রোসো, বিষয়টি আরেকটু বুঝে নেই। পৃথিবীর কোন দুই দেশের সীমান্ত দেখানো যাবে যেখানে চোরাচালান হয় না? তেমন দেশ কি কোথাও আছে? মেক্সিকোর হাজার হাজার লোক যে উদ্ভাস্তু হয়ে প্রতি মুহুর্তে অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাচ্ছে, বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা কি তাদের উলঙ্গ করে পেটাচ্ছে নাকি প্রতিদিন গুলি করে একজন দুইজন মেরে ফেলছে? না, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্ত ছাড়া আর কোথাও এরকমটা হচ্ছে না। চোরাচালান বিরোধী আইন আছে, সেই আইনে গ্রেপ্তার করে চোরাচালানকারীদের শাস্তি দেয়া হোক, একটি সভ্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা প্রতিবাদ করতে যাব না।

 

কিন্তু ভারতীয় বাহিনী সে পথে হাটছে না। তারা চোরাচালানের সব পথ উন্মুক্ত করে রেখেছে। দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের সরেজমিন প্রতিবেদনে দেখিয়েছে যে সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলোতে প্রকাশ্যে চলছে ফেন্সিডিল তৈরির শত শত কারখানা। কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নিজে সীমান্ত পার হয়ে সহজেই সেখানে গিয়ে অস্ত্র দরদাম করতে পেরেছেন, ছবি তুলে নিয়েও এসেছেন। তাকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে যে দামে দরে পুষলে সেই অস্ত্র তারা নিজেদের লোক দিয়ে বাংলাদেশে সরবরাহ করবেন। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা। ভারত চোরাচালানকে উৎসাহিত করছে, এবং উস্কে দিচ্ছে। আর যখনই তারা চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে ঠিক মতো বখরা বুঝে পাচ্ছে না তখনই তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। এই নির্যাতন তারা করতে পারে না। আমাদের নেতানেত্রীরা যতই একে তিল মনে করুন না কেন, আমরা একে তাল হিসেবেই দেখি এবং দেখব।

 

ভারতের এই নির্যাতনের সময় চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে আমাদের সরকার। তথাকথিত ‘কড়া প্রতিবাদ’ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো ছাড়া তারা উল্লেখযোগ্য কিছু করেছে এরকমটা কখনোই দেখিনি। এই নিস্পৃহতা যে শুধু এই সরকারের সময় হচ্ছে এমন নয়, আগের সরকারগুলোর সময়ও কমবেশি হয়েছে। কিন্তু এই সরকারের মতো কেউ বিষয়গুলো নিয়ে ‘চিন্তিত নয়’ বলার মতো সৎসাহস দেখাতে পারেননি।

 

আমাদের দেশের কারো কারো বক্তব্য তুলনা করলে দেখা যাবে যে সেগুলো তাদের ভারতীয় কাউন্টার পার্টের তুলনায় বেশি ‘ভারতীয়’। মনে হয় যেন ভারত যে কষ্ট করে এই সীমান্ত নির্যাতন ও খুন করতে বাধ্য হচ্ছে এতে করে আমরাই বেশি লজ্জিত। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কথা বলতে লজ্জিত হতে পারেন, কিন্তু দেশের ভেতরেই আমাদের অনেক কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশুও যে বিএসএফ এর গুলির মুখে প্রাণ দিয়েছে, সে বিষয়গুলোতেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।

 

এ তো গেল কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা। এর বাইরেও কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাগরিকদের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।

 

সীমান্তবর্তী মানুষ কেন চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে, সেটা খুজে দেখার কোনো চেষ্টা কখনোই নেই আমাদের। সীমান্তের এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আয় বর্ধনের জন্য কোনো আলাদা কর্মসূচি নেওয়ার কথা কেউ চিন্তা করে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এসব এলাকায় অর্থনৈতিক তৎপরতা কম, সরকারের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি সীমান্তবর্তী এলাকায় বরাদ্দ পায় কম কিংবা একেবারেই হয়তো যায় না- সব বিবেচনায় এই লোকগুলোকে একটি বড় অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ভাবা খুব জরুরি। সরকার ‘চিন্তিত না’ বললে তো আমরা শুনব না।

 

 

 

ভারতকে প্রশ্ন করা দূরে থাক, এমনকি সাধারণ নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার কথাও না হয় আপাতত বাদ দিলাম, কিন্তু সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের নিজেদের লোকদেরই নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিডিআরের দুই সদস্য নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার বিজিবির একজন হাবিলদারকে যখন ভারতীয় অনুপ্রেবশকারীরা ধরে নিয়ে গেল তখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই বিজিবি সদস্য নাকি বাধ্য হয়ে বিএসএফ এর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন দাত ভাঙ্গা, মুখ ভাঙ্গা এই হাবিলদার ‘অতিথি’কে যখন ফেরত দিল ‘আশ্রয়দাতা’ বিজিবি, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহ হচ্ছে আমার। তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?

 

 

 

 

 

‘চোরাচালানকারী’ পরিচয়ে যখন একজন বাংলাদেশী নাগরিক ভারতের মাটিতে নির্যাতিত কিংবা নিহত হয়, তখন সবার আগে জবাবদিহিতায় নিয়ে আসা উচিত ঐ এলাকার বিজিবি কমান্ডকে। একজন লোক বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে যায় কীভাবে? এভাবে যদি অবাধে যাতায়াত করতেই পারে, তাহলে বিজিবি সদস্যদের কাজটা কী?

 

 

 

 

তবে ভারত যে আমাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেই যাচ্ছে দিনের পর দিন, বেপরোয়া নির্যাতন ও হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের সীমান্তে-এর পেছনে বড় কারণ কিন্তু আমাদের নেতা কিংবা আমলারা নন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিংবা আমাদের দেশের চোরাচালানকারী দরিদ্র মানুষও নন। এই পুরো ব্যাপারটির মূল মদতদাতা হচ্ছি আমরা-বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত মানুষেরা।

 

আমরা দিনকে দিন এমন ভাবে ভারতীয় সেবাদাসে পরিণত হয়েছি বা আমাদেরকে এমন ভাবে পরিণত করা হচ্ছে, সব জেনে বুঝেও আমরা চুপ করে আছি।

 

 

 

 

আমাদের দেশে এখন টেলিভিশন চ্যানেলের অভাব নেই, কিন্তু এমন মধ্যবিত্ত পরিবার খুব কম পাওয়া যাবে যেখানে রাতের বেলা হিন্দি কূটনামি সিরিয়ালগুলো দেখার জন্য আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ি না। ভারতীয় মাসাককালি কাপড় ছাড়া রোজার ঈদ আর ভারতীয় গরু ছাড়া কোরবানির ঈদ হয় না যে দেশের মানুষের, সে দেশের নাগরিকদের আত্মসম্মানের পরিমাপ করতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

 

 

 

 

 

এদেশের কিন্টারগার্ডেন গুলোতে ভারতীয় পাঠ্যপুস্তক পড়ানো বন্ধ করা যায় নি, ঘরে ঘরে চব্বিশঘন্টার হিন্দি কার্টুন চ্যানেলের কারণে বাচ্চারা এখন বাংলা থেকে হিন্দিতে কথা বলতেই বেশি সক্ষম হচ্ছে-এ রকম সাংস্কৃতিক পরিবর্তন গুলোকে আমরা সযতনে উপেক্ষা করে যাচ্ছি। এই হীনমন্যতার কারণেই দিনে দিনে আমরা তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর জাতি হিসেবে পরিচিত হচ্ছি বিশ্বব্যাপী। আজ আমাদের উলঙ্গ ভিডিও চিত্র বিশ্বে আমাদেরকে উপহাসের পাত্র করে তুলেছে। আমরা যত না শরীরে উলঙ্গ হচ্ছি, তার চাইতে বেশি উলঙ্গ হয়ে উঠেছি আমাদের মননে। আমাদের সংস্কৃতিতে ভারতীয় এই আগ্রাসন আমাদেরকে নির্জিব করে দিচ্ছে, এজন্যই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে ধরে নিয়ে গিয়ে ২১ ঘন্টা পরে আধমরা করে ফেরত দিলেও আমরা এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোকে জরুরি মনে করছি না।

 

আমরা যদি আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে আমাদের সম্মানটুকু অর্জন করতে চাই, তাহলে সেটি করার এখনই সময়। আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই যে সমান সম্মানে বন্ধুত্ব সম্ভব, এভাবে প্রতিদিন আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে নয়।

 

 

 

 

ইতিমধ্যে ব্লগে ব্লগে প্রতিরোধের আহ্বান এসেছে। বাংলা অনলাইন লেখক প্লাটফরম ‘সচলায়তন.কম জনপ্রিয় ব্লগার হিমুর বরাতে আহ্বান জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ ভারতীয় পণ্যমুক্ত দিন হিসেবে পালন করতে। ঐ দিন যথাসম্ভব ভারতীয় পণ্য বর্জন করা হবে। সেটি বাজারের পণ্যই হোক কিংবা ঘরে থাকা টিভি চ্যানেলটিই হোক। তারপর থেকে যতবারই সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ ঘটবে কিংবা আমার দেশের নাগরিক নির্যাতিত হবে, ততবারই ঘটনা প্রকাশের পরের দিন এই পণ্য বর্জন কর্মসূচি চলবে।

 

 

 

 

আমি বাংলা ব্লগের এই প্রতীকি প্রতিরোধে সংহতি জানাচ্ছি। আগামী ১ মার্চের ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে ভারতের টনক নড়ুক কি না নড়ুক, আমরা যদি নিজেরা আত্মসচেতন হয়ে উঠি, সেটাও হবে অনেক বড় একটি পাওয়া।

 

 

আরিফ জেবতিক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।

 

 

http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/01/22/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%A3-%E0%A6%8F/

Link to comment
Share on other sites

  • 3 weeks later...

Asalamu'alaikum

 

 

 

 

ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন, বাংলাদেশী পণ্য কিনুন

 

 

সীমান্তে গুলি বন্ধ হবে না: বিএসএফ প্রধান, ইনডিয়ার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে তার বাহিনী গুলি চালানো বন্ধ করবে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “সীমান্তে অপরাধীদের থামাতে আমাদের ব্যবস্থা নিতেই হবে।”

 

আমাদের ফেলানি বা সামান্য গরু ব্যবসায়ী হাবিবুর(যার নির্যাতনের ভিডিও সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে) কি অপরাধী ছিল??? গত এক দশকে বিএসএফ ১১০০ উপর বাংলাদেশী হত্যা করেছে যার প্রায় সব... ই নিরীহ গরীব মানুষ!! কই ফেনসিডিল নিয়ে যখন আসে তখন তো গুলি করেনা, সীমান্ত জুড়ে প্রায় ১০০০ এর উপর ফেনসিডিল কারখানা আছে ভারতের যার পুরটাই চোরাচালান হয়ে আসে বাংলাদেশে, কই তখন তো বিএসএফ কিছু বলেনা!!! ভারতের সাথে পাকিস্তান ও চীনের বর্ডার আছে কই সেখানে তো বিএসএফ বছরে একজনকেও হত্যা করেনা!!!

 

http://www.facebook.com/BharotioPonnyoBorjonKorun

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...