Jump to content
IslamicTeachings.org

আমি দুনিয়ার সম্পদ চাই না , স্বামীকে চাই


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

Asalamu'alaikum

 

আমি দুনিয়ার সম্পদ চাই না , স্বামীকে চাই

 

 

( পর্ব ১ )

 

‘ আমি পূর্ণিমার চাঁদকে আমার স্বামীর চেহারার সাথে তুলনা করলাম - বুঝতে পারলাম না কে বেশী সুন্দর - চাঁদ না আমার স্বামী ? ’

 

 

‘ আমি দুনিয়ার সম্পদ চাই না , আমার স্বামীকে চাই ’ - এ সব কথা যে স্ত্রী বলেন তিনি কি সুখী না অসুখী ? যে কোন বিবেকবান মানুষ বলবেন এসব স্বামী গর্বে গর্বিতা সুখী স্ত্রীর মনের কথা । কিন্ত্ত সত্যি অদ্ভূত যে শত শত বছর ধরে এই সুখী দম্পতির বিরুদ্ধে কিছু মানুষ নোংরা ভাষায় অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ।

 

রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিয়ে নিয়ে সবসময়ই অমুসলিমরা নোংরা ভাষায় সমালোচনা করে এসেছে । বিশেষ করে আয়েশা رضي الله عنهم এর সাথে তাঁর বিয়ে নিয়ে তাদের অশালীন বক্তব্য উল্লেখ করাও সম্ভব নয় । কিয়ামতের দিনে তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছ থেকে পাবে ।

 

এই বিয়ে পশ্চিমাদের বর্তমান সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে বিচার করলে হবে না । আমাদের মনে রাখতে হবে এই বিয়ে হয়েছিল আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে । তাছাড়া পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের জন্য কোনকিছু বিচারের মানদন্ড নয় ।

 

 

পশ্চিমা সমাজের বর্তমান মূল্যবোধ :

 

আমেরিকায় গত প্রসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় আমরা দেখেছি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পলিনের ১৬/১৭ বছরের অবিবাহিতা মেয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে মার পিছু পিছু তার সব নির্বাচনী সভায় যাচ্ছে । কোন মার্কিন নাগরিক এ নিয়ে শোকে – দু:খে মাতম করেছে বলে আমার জানা নেই ।

 

 

কেউ সারাহ পলিনকে বা তার মেয়ের প্রেমিকের মা – বাবাকে গ্রেফতারের দাবী জানায় নি কিন্ত্ত বাংলাদেশে ১৮ বছর হওয়ার মাত্র এক মাস আগে কোন মেয়েকে তার মত নিয়েও বিয়ে দিতে চাইলে সেটা হয়ে যাবে শিশু নির্যাতন । পুলিশ এসে বিয়ের কাজী , দুই পক্ষের মা-বাবা , বর সবাইকে থানায় নিয়ে যাবে , মামলা হবে তাদের বিরুদ্ধে ।

 

 

আমেরিকার এক স্কুলে ১৭ জন ছাত্রী যাদের কারো বয়সই ষোল বছরের বেশী না , তারা একসাথে গর্ভবতী হয়েছে । তাদের ইচ্ছা সব কুমারী মায়েরা একসাথে থেকে নিজেদের বাচ্চা ‘ মানুষ ‘ করবে । হায় সভ্যতা । এরাই হলো আধুনিক ; আর মহান স্রষ্টা যে পবিত্র বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছেন , তা এই আধুনিক পশ্চিমাদের চোখে বর্বরতা , নারী নির্যাতন ।

 

 

পশ্চিমা দেশগুলিতে ১৪/১৫ বছরের স্কুলের মেয়েরা একাধিক ছেলেবন্ধুর সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে , বিয়ে না করে বাচ্চার মেয়ে হয় , তাতে কারো কোন অসুবিধা নেই , কেউ চোখ কপালে তুলে বলে না এতে শিশু নির্যাতন হচ্ছে । অথচ এই পশ্চিমারাই আজ থেকে হাজার বছর আগের এক সুখী দম্পতির বয়স নিয়ে অশালীন ভাষায় কুৎসিত আক্রমণ করে ।

 

পশ্চিমারা স্কুলছাত্রীদের হাতে বিনা পয়সায় তুলে দিচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রী , স্কুলে যৌনশিক্ষা দেয়া হয় নয় বছর বয়সীদের । আগে ১২ বছরের কমে কাউকে এ নিয়ে কিছু শেখানো হতো না কিন্ত দেখা গেল বারো বছর বয়সের আগেই অনেক মেয়ে ছেলেবন্ধু নিয়ে ঘুরছে ; যার অবধারিত ফল বিয়ে না করেই সন্তানের মা হওয়া , কখনো ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত বা সন্তান হত্যা । তাই এখন সিদ্ধান্ত পাল্টে ৯ বছরের মেয়েদের নিরাপদ যৌনজীবন অর্থাৎ কিভাবে এইডসে আক্রান্ত না হয়ে বা গর্ভবতী না হয়ে যৌনতাকে তারা উপভোগ করবে তা শেখানো হয় । আসতাগফিরুল্লাহ । আর এরাই কি না আল্লাহর রাসূলের বৈধ বিবাহিত জীবনের বিরুদ্ধে কথা বলে । আর অনেক মুসলমান নামধারীরাও এদের কথায় হয় বিভ্রান্ত । ধিক্ আমাদের ।

 

ষোল - সতেরো বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে যদি তার ও অভিভাবকের সম্মতিতে হয় , তবে তা ইসলামিক শরীয়াহতে স্বীকৃত । কিন্ত্ত এই বিয়ে আজ মানুষের আইনে নিষিদ্ধ কিন্ত্ত এই আমরাই পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যাণে বিয়ে বহির্ভূত তরুণ –তরুণীদের এমন কী কিশোর – কিশোরীদের প্রেমকে মেনে দিচ্ছি । ভালবাসা দিবস আজ এদেশের অবিবাহিত তরুণ – তরুণীদের অন্যতম প্রিয় একটি উৎসব ।

 

বিভিন্ন ধর্মে বিয়ে :

 

ইয়াহুদী ধর্মে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স কত ?

 

১. ইয়াহুদীরা যাকে মৌখিক তাওরাত বলে ( oral torah ) , সেই হা - তালমুদ হা - বাভলীতে আছে , এটা পছন্দনীয় যে মাসিক শুরু হয়ে গেলে দেরী না করে একটি মেয়েকে বিয়ে দেয়া উচিত

( Sanhedrin 76b) ।

 

২. ইয়াহুদীদের ধর্মগ্রন্থের অন্য জায়গায় ( ketuvot 6 a ) যে মেয়ে এখনো বালেগা হয় নি , তার সাথে কিভাবে সহবাস করতে হবে , সেই নিয়ম বলা আছে ।

 

 

খ্রীস্ট ধর্মে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স কত ?

 

 

 

একজন খ্রীস্টান যিনি অনলাইনে বাইবেলের উপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন (http://www.toughlove.faithweb.com ) তাকে আমি কয়েক বছর আগে ই-মেলে প্রশ্ন করেছিলাম : বাইবেলে নারীদের বিয়ের বয়স কত হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে অর্থাৎ কমপক্ষে ১৮ বা ২০ হতে হবে , এমন কোন আয়াত আছে কি না ? তার উত্তর : বিয়ের কোন সর্বনিম্ন বয়স বাইবেলে বলে দেয়া হয় নি ।

 

 

বাইবেলের পুরাতন সমাচারে আছে স্রষ্টার ছেলে দাউদ বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে অল্পবয়সের কুমারীকে বিয়ে করেছিলেন । এটা প্রমাণ করে যে মেয়ের বয়স কম হওয়া বা স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেশী হলেও সেটা ইয়াহুদী বা খ্রিস্টানদের বিয়েতে কোন বাধা নয় । খ্রিস্টানদের প্রভু যিশুর কুমারী মা মেরীর সাথে জোসেফের যখন বিয়ে হয় , তখন সেই যুগের রীতি অনুসারে মেরীর বয়স খুব বেশী হলে ১৩/১৪ ছিল ; জোসেফের বয়স ছিল ত্রিশের বেশী ।

 

এখনকার মানুষের তৈরী আইনে নাবালিকা বিয়ের অপরাধে স্ত্রীর দ্বিগুণ বয়সী স্বামী জোসেফ যাকে বাইবেলের বংশ তালিকায় যিশুর পিতা হিসাবে দেখানো হয়েছে , তার জেল ও জরিমানা এই দুই শাস্তিই প্রাপ্য ।

 

হিন্দু ধর্মে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স কত ?

 

১. হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মনু স্মৃতিতে আছে বয়:প্রাপ্তির আগেই মেয়েদের বিয়ে দেয়া উচিত ( গৌতমা ১৮ -২১ ) ।

 

২. হিন্দু শাস্ত্রে এমন নির্দেশও আছে যে , কাপড় পড়তে শুরু করে নি , এমন শিশু কন্যাকে বিয়ে দেয়া ভাল । কেননা , পিতার বাসায় থাকার সময় যদি কোন মেয়ের মাসিক শুরু হয় , তবে মা , বাবা ও বড় ভাই নরকে যাবে ।

 

৩. হিন্দু শাস্ত্র আরো বলে বয়:প্রাপ্তির পরেও কোন পিতা যদি মেয়ের বিয়ে না দেন , তবে মেয়ের প্রতিবারের মাসিকের সময় সেই পিতা ভ্রুণ হত্যার পাপ করলো । এমন উপদেশও দেয়া হয়েছে যে সেই মেয়ের উচিত নিজের বিয়ের ব্যবস্থা করা ।

 

৪.মনুর আইনে বলা আছে : ৩০ বছরের যুবকের উচিত ১২ বছরের ও ২৪ বছর বয়সের যুবকের উচিত আট বছরের কুমারীকে বিয়ে করা ।

৫. হিন্দু প্রধান দেশ নেপাল ও ভারতে আগে ৫/৬ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হতো । এখন মানুষের তৈরী আইনে দেশভেদে হিন্দু মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স একেক রকম ।

 

 

 

এ বিয়ে নিয়ে আরো কিছু তথ্য :

 

 

 

১ . আয়েশা رضي الله عنهم এর সাথে বিয়ের ঘটনা রাসুল صلى الله عليه وسلم স্বপ্নের মাধ্যমে আগেই জানতে পেরেছিলেন । নবীদের স্বপ্ন ওহী লাভের অন্তর্ভূক্ত । তাই মুসলমানদের এটা বিশ্বাস করতে হবে যে এই বিয়ের আদেশ আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছিল । এ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কোন লজ্জা থাকা উচিত নয় । তাছাড়া , এই বিয়েতে মেয়ে , মেয়ের অভিভাবকের মত ছিল ও কারো উপর কোন জোর করা হয় নি ।

২ . এটি অনেকেরই জানা নেই যে আয়েশা رضي الله عنهم এর বিয়ে প্রথমে ঠিক হয়েছিল অন্য একজনের সাথে । তার নাম জুবায়ের ইবনে আল মুতাম । ইসলাম কবুল না করায় জুবায়েরের সাথে এই বিয়ে আর হয় নি । এটি একটি প্রমাণ যে তখনকার রীতি অনুসারে আয়েশা

رضي الله عنهم বিয়ের উপযুক্ত ছিলেন ।

 

 

৩. . আয়েশা رضي الله عنهم এর আকদ ( যাওয়াজ ) হয় ছয় বছর বয়সে ও তিনি স্বামীর ঘরে যান অর্থাৎ তাঁর বিবাহিতা জীবন শুরু হয় দীর্ঘ তিন বছর পর - নয় বছর বয়সে । এই দীর্ঘ তিন বছর রাসূল صلى الله عليه وسلم স্ত্রীকে নিজের কাছে আনেন নি কেন ? নিশ্চয়ই তিনি স্ত্রীর বয়:প্রাপ্তিতে পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন । অর্থাৎ আয়েশা رضي الله عنهم মাসিক শুরুর পর বালেগা হয়েই সংসার জীবন শুরু করেন ।

 

 

 

ইসলামে শরীয়াতে মাসিক শুরু হলে একটি মেয়েকে বালেগা বা প্রাপ্তবয়স্কা হিসাবে গণ্য করা হয় । শরীরবিদ্যা সম্পর্কে যার সামান্য জ্ঞান আছে , সে জানে মাসিক শুরু হওয়ার মানে হলো এই মেয়ে এখন মা হতে শারীরিকভাবে সক্ষম ।

 

৪. সে সময়ে রাসূল صلى الله عليه وسلم এর ঘরে অন্য স্ত্রী ছিল ; তাই আয়েশা رضي الله عنهم এর উপর সংসার জীবনের গূরু দায়িত্ব পালনের বোঝাও চাপানো হয় নি ।

 

৫. রাসূল صلى الله عليه وسلم এর সাথে বিয়ের পরে তিনি গৃহবন্দী হয়ে যান বা তাঁর কাছে কেউ যেতে পারতো না , এমনটি ঘটে নি । খেলার সাথী বা বান্ধবীরা বিয়ের পরেও নিয়মিত আসতো আয়েশা رضي الله عنهم এর কাছে । রাসূল صلى الله عليه وسلم অনেক সময় আলখেল্লা দিয়ে নিজেকে আড়াল করতেন যাতে বান্ধবীদের সাথে স্ত্রীর খেলায় কোন অসুবিধা না হয় ।

 

আয়েশা رضي الله عنهم বলেন , একদিন আমি যখন পুতুল নিয়ে খেলছিলাম , তখন রাসূল صلى الله عليه وسلم আসলেন । তিনি জানতে চাইলেন , ও আয়েশা , এটা কী খেলা ? আমি বললাম : এটা সুলায়মানের ঘোড়া । শুনে তিনি হাসলেন ।

 

 

৬. বিবাহিতা জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় আয়েশা رضي الله عنهم কাজে লাগিয়েছেন জ্ঞান চর্চায় । তিনি সরাসরি আল্লাহর নবী صلى الله عليه وسلم এর কাছ থেকে কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা নিয়েছেন ও তাঁর জীবনযাত্রা স্ত্রী হিসাবে একদম কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন যে সৌভাগ্য অন্য কারো হয় নি ।

 

দুই হাজারের বেশী হাদীস বর্ণনা করেছেন এমন চারজনের মধ্যে আয়েশা رضي الله عنهم অন্যতম ও একমাত্র নারী এবং রাসূল এর তিন কুরআনে হাফেজ স্ত্রীর তিনি একজন । রাসূল মারা যাওয়ার পর অনেক সাহাবী কুরআন ও হাদীসের ব্যখ্যায় আয়েশা رضي الله عنهم এর কাছ থেকে উপদেশ নিতেন । তার জীবন এটাই প্রমাণ করে যে পুরষদের থেকে মেয়েরা অনেক বেশী শিক্ষিতা হতে পারেন ও পুরুষদের মধ্যে যারা চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচিত , তাদেরকেও তিনি শেখাতে পারেন ।

 

 

৭ . যারা এই বিয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ভুলে যায় যে : আল্লাহ ওহী পাঠিয়ে রাসূল صلى الله عليه وسلم কে নির্দেশ দেন স্ত্রীদের কাছে জানতে যে তারা দুনিয়ার সম্পদ নিয়ে আলাদা হতে চান কি না । হাদীসে আছে , স্ত্রীদের মধ্যে আয়শা সবার আগে বলে উঠেন , অবশ্যই আমি আল্লাহ ও তার রাসূল এবং আখেরাত কামনা করি ।

Link to comment
Share on other sites

Asalamu'alaikum

 

 

 

 

( পর্ব ২ )

 

ছেলেদের তূলনায় মেয়েরা আগেই বয়:প্রাপ্ত হয় :

 

১. সবচেয়ে কম বয়সে মা হয়েছে পেরুর পাঁচ বছর ৭ মাস ২১ দিনের লীনা মেডিনা । ইউক্রেনের লিজা ছয় বছরে , নাইজেরিয়ার মামযি আট বছরে মা হয় । বারো বছরের আগে যারা মা হয়েছে , তাদের তালিকা অনলাইনে পাবেন । ৫- ১১ বয়সী এই মায়েরা প্রমাণ করে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক আগেই বয়:প্রাপ্ত হয় ।

 

 

২. মেয়েরা বালেগা হয় সাধারণত ৮-১২ বছরের মধ্যে - এটা নির্ভর করে আবহাওয়া , জাতিগত বৈশিষ্ট্য ও জেনেটিকস এর উপর । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাঁচ বছর বয়সের আগেই মেয়েদের মাসিক শুরু হয় ।

 

৩. এই যুগেও বিভিন্ন দেশে যেমন ভারত উপমহাদেশ , উত্তর আফ্রিকা , আরবে নয় বছর বয়সের আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয় ।

 

 

৪ . চৌদ্দ বছরের মেয়ের সাথে চল্লিশ বছরের পুরুষের প্রেমকে আমেরিকানরা ‘ বিকৃত রুচি ’ বলবে কিন্ত্ত চীনারা তা বলবে না , কেননা সেখানে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৪ ।

 

৫. আমেরিকায় আগে দশ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেয়া যেত । ১৮৮৯ সালে ক্যালিফোর্ণিয়ায় মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৪ করা হয় ; পরে অন্য স্টেটসগুলিতেও আইন করে বিয়ের বয়স বাড়ানো হয় ।

 

 

৬. জাপানে দশ বছর বয়স থেকে ও স্পেনে ১২ বছর হলে বৈধভাবে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করা যায় ।

 

বাংলাদেশে সম্প্রতি এক কলেজ ছাত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে কাজের মেয়ে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে । পুলিশ জানাচ্ছে , মা -বাবা ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে দরজা খুলে প্রেমিককে ঘরে ঢোকায় । তাদের ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য কাজের মেয়ে দেখা ফেলায় তাকে খুন করা হয় । এটা সত্যি হলে কী ভয়ংকর কথা । যে মেয়ে বিয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরী ও যার নৈতিকতা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই , সময়মত তার বিয়ে না দিলে সে যে কোন সময় বড় পাপে জড়িয়ে পড়বে ।

 

 

আমাদের সমাজে ও পুরো দুনিয়ায় অনেক বড় বড় সমস্যা আছে , আসুন সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই । খামোকা এক সুখী দম্পতির পিছনে নাই বা লাগলেন । সম্প্রতি প্রথম আলোর ব্লগে দেখলাম এই বিয়ের বিরুদ্ধে জঘন্য ভাষায় লেখা হয়েছে । সত্যি দৃ:খজনক ।

 

অনেক মুসলমান পুরুষ কোন বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করতে চায় না , কিন্ত্ত কমবয়সী মেয়েদেরকে বিয়ে করার জন্য তার অভিভাবকের অভাবকে কাজে লাগায় । টাকার লোভ দেখিয়ে বা টাকা ধার দিয়ে সুদসহ তা ফেরত দেয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে অবশেষে মা -বাবাকে বাধ্য করে মেয়ের বিয়ে তার সাথে দিতে - এভাবে জোর করে বিয়ের অনুমতি ইসলামে নেই । খামোকা নিজের লোভের কারণে জোর করে গরীব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করার সময় সুন্নত পালন করছি এটা দাবী করে ইসলাম বিরোধীদের হাতে ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের হাতিয়ার তুলে দেবেন না । সুন্নত পালন যদি করতেই হয় , তবে আগে বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা নারীদের সন্তানসহ বিয়ে করুন , মা ও সেই সন্তানকে ভালবাসা দিন , মর্যাদা দিন । আপনাকে নিয়ে আপনার স্ত্রী যেন গর্ব করে বলতে পারেন : আমি দুনিয়ার সম্পদ চাই না , আমার স্বামীকে চাই ’ ।

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...