Jump to content
IslamicTeachings.org

একটি মোমবাতির কাহিনী


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

Asalamu'alaikum

 

Story of a Candle

 

Once Caliph Omar ra was working at night and his 2 relatives came to pay him a visit . Caliph ra hurriedly lit off the candle and lit on another candle.

 

Relatives were surprised to see that and asked the reason . Caliph answered : the first candle was bought by Govt . money . As u 2 are my relatives , we will have personal talks. I don't want to waste Govt. money for my personal use.

 

Relatives were stunned .They came to see if they can get any advantage but after seeing how careful Caliph is about spending official money , they left the place without asking for any undue advantage.

 

It's a pity that now a days Muslims stay far far away from the teachings of Islam.

 

মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর রাযিআল্লাহু আনহু । এমন সময় সেখানে আসলেন তার দুই আত্মীয় । খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন । অন্য আরেকটি মোমবাতি ধরিয়ে অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খোজখবর নিলেন ।

 

কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন , আমাদের দেখে কেন আপনি আগের মোমবাতি নেভালেন আর নতুন একটি জ্বালালেন ? খলিফা জবাব দিলেন : আগের মোমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা । তোমরা যেহেতু আমার আত্মীয় , তাই তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে । আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না । তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে । তাই নিজের টাকায় কেনা মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম ।

 

 

এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন । তারা এসেছিলেন আত্মীয়তার খাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না , সেই অনুরোধ করতে । কিন্ত্ত সামান্য মোমবাতি নিয়ে খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না ।

 

আরেকবার খলিফার কাছে এক লোক অবৈধ সুবিধা চায় । খলিফার সামনে রাখা কিছু কাঠে তখন আগুন জ্বলছিল। খলিফা বললেন , ঠিক আছে । তুমি এই আগুনের ভিতর তোমার হাত কিছু সময়ের জন্য রাখো ; তারপর তোমার অনুরোধ আমি বিবেচনা করবো । লোকটি ভয় পেয়ে বললো , হে খলিফা ; এই আগুনে হাত ঢুকালে আমার হাত তো জ্বলে যাবে । খলিফা বললেন , তুমি দুনিয়ার এই সামান্য আগুনকে ভয় পাচ্ছ অথচ আমাকে তুমি দোযখের অনন্ত আগুনের ভিতরে নিয়ে যেতে চাও ? তদবিরকারী নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে যায়।

 

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চার সুযোগ্য খলিফা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে কখনোই বিলাসিতায় গা ভাসান নি । একদম গরীব , সাধারণ কোন প্রজাও যদি তাদের কোন ভুল ধরিয়ে দিতেন , তবে তারা তা সাথে সাথেই সংশোধন করতেন । এদেরই একজন খলিফা ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর দায়িত্ব ও কর্তব্যের কিছু নমুনা নীচে দেয়া হলো যা আজ আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে ।

 

কাযীর দরবারে খলিফা:

 

বিচারের কাজে একদিন খলিফাকে কাযীর কাছে যেতে হয়। খলিফাকে সম্মান দেখাতে কাযী দাড়িয়ে গেলে খলিফা তাতে বিরক্তি প্রকাশ করলেন । কাযীকে তিনি মনে করিয়ে দিলেন , বিচারপ্রার্থী দুই পক্ষকেই সমান মর্যাদা না দিলে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।

 

সরকারী ভাতা : বাইতুল মাল থেকে খলিফা যে অর্থ পেতেন , তা ছিল খুবই সামান্য । একবার অসুস্থ হলে চিকিৎসক মধু খেতে বললেন কিন্ত্ত তা কেনার টাকা খলিফার ছিল না । তাই মসজিদে গিয়ে জনগণের অনুমতি চাইলেন বাইতূল মাল থেকে সামান্য মধু নেয়ার জন্য।

 

তালি দেয়া কাপড় থাকতো খলিফার গায়ে : রোম ও পারস্য সম্রাটের দূতগণ এসে খলিফাকে খুঁজে পেত না । তিনি তালি দেয়া জামা পরে মসজিদের এক কোণে অবস্থান করতেন । দূতরা কল্পনাও করতে পারতো না বিশাল সাম্রাজ্যের যিনি খলিফা , তিনি এত সাধারণ জীবন যাপন করেন ।

 

সফরে খলিফা : অনেক সময় খলিফা একটি মাত্র উট , সামান্য রুটি ও শুকনো খেজুর নিয়ে সফর করতেন । তিনি যখন জেরুজালেমে যাত্রা করেন , তখন এই দীর্ঘ সফরে সাথী ছিল একজন মাত্র গোলাম । চাইলেই খলিফা সারা পথ উটের পিঠে চড়তে পারতেন ; কিন্ত্ত না ; তিনি নিজেই ঠিক করলেন একবার তিনি , পরেরবার গোলাম উটের পিঠে চড়বে । এভাবে পালা করে কখনো গোলাম , কখনো মনিব যিনি সমস্ত মুসলিম জাহানের খলিফা তিনি উটের লাগাম ধরে হাটতেন । জেরুজালেমের নাগরিকরা খলিফাকে অভ্যর্থনা জানাতে যখন এগিয়ে আসলো , তখন উটের পিঠে বসার পালা ছিল গোলামের । নগরবাসী চিনতে না পেরে গোলামকে অভ্যর্থনা করলো । এরপর মুসলিম সেনারা খলিফাকে চিনতে পেরে যখন তার দিকে এগিয়ে যায় , তখন উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ে ।

 

 

খলিফার সাম্যনীতি : মনিব ও গোলামের মধ্যে তিনি কোন পার্থক্য করতেন না । বাইতুল মাল থেকে ভাতা ঠিক করার সময় তিনি যোগ্যতার মাপকাঠি অনুযায়ী অনেক সময় গোলামকেও মনিবের সমান ভাতা দিতেন । তিনি বলতেন , যারা গোলামদের ঘৃণার নজরে দেখেন , তাদের পরিণতি সম্বন্ধে আল্লাহই ভাল জানেন ।

 

 

সরকারী কর্মচারী নিয়োগে সতর্কতা : যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মচারী বাছাই করে নিয়োগ পত্র দেয়া হত ও সেখানে সে কি কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত তার বর্ণনা ও সাক্ষী হিসাবে বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর থাকতো । কাজের জায়গায় সেই সরকারী লোককে এলাকার মানুষদের কাছে তা পড়ে শোনাতে হতো । ফলে সরকারী পদে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষরা অবহিত থাকতো ও কাজের গাফিলতি ধরতে পারতো । খলিফার নির্দেশ ছিল সরকারী কর্মচারীরা দামী কাপড় পড়বে না ও দরজায় পাহারাদার রাখবে না । কেননা তাহলে সাধারণ মানুষদের সাথে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হবে ।

 

কাজে যোগ দেয়ার পর কোন কর্মচারীর সম্পদ অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে - এই অভিযোগ পেলে তিনি তার কাছে কৈফিয়ত চাইতেন । এ ধরণের এক অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেলে তিনি অভিযু্ক্ত কর্মচারীর অর্ধেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকারী কোষাগারে জমা দেন ।

 

 

সামান্য মোমবাতি অপচয় করতে খলিফার মনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার যে ভয় কাজ করছিল , আফসোস , আজ মুসলমানরা ইসলামের এসব মহান আদর্শ থেকে কতই না দূরে । এসব আদর্শ মেনে চলা তো দূরের কথা , শুনলেও রুপকথার গল্প বলেই মনে হয়।

Link to comment
Share on other sites

  • 4 weeks later...

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...