Jump to content
IslamicTeachings.org

মদিনার মসজিদ


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

:assalam:

 

 

 

 

মদিনার মসজিদ

 

 

কাজী শফিকুল আযম 

 

 

 

 

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর চল্লিশ হাজারের বেশী লোক পবিত্র হজ্ব পালন করে থাকেন। হজ্ব পালনের আগে বা পরে এদের প্রত্যেকেই নূন্যতম আট দিনের জন্য মদিনা শরিফ গমন করে থাকেন। উদ্দেশ্য নবীজীর র��"জা শরীফ জিয়ারত করা এবং মসজিদে নববীতে একাদিক্রমে ৪০ ��"য়াক্ত নামাজ আদায় করা।

 

 

 

 

হাদিস শরিফে আছে, হজরত মোহাম্মদ(সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদে ৪০ ��ওয়াক্ত একাদিক্রমে নামাজ পড়বে, তার জন্য আখেরাতে দোজখের আজাব এবং দুনিয়ার মোনাফেকী রোগ থেকে মুক্তি লিখে দেয়া হবে। হাদিস শরিফে আরো উল্লেখ আছে যে,মসজিদে নববীতে এক রাকাত নামাজ আদায় করলে ৫০ হাজার রাকাত নামাজের স��"য়াব পা��"য়া যায়।নবীজীর র��"জা শরীফ জিয়ারত প্রসঙ্গে হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যে ব্যক্তি হজ্ব পালন করে হজরত রসূলে করীম (সঃ) এর পবিত্র র��"জা জিয়ারত করেনি, সে রসূলে করীমের উপর জুলুম করেছে।

 

আল্লাহর অসীম রহমতে আমি এবার স্ত্রী ��" বোন সহ পবিত্র হজ্ব পালন করেছি।এজন্য আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই। হজ্ব পালন কালে নভেম্বর ৬ থেকে নভেম্বর ১৫ পর্য়ন্তু মদিনা শরীফ অবস্থান করি। মদিনা শরীফ অবস্থান কালে মদিনার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদ পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছে। এ সকল মসজিদ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরাই এ লেখার উদ্দেশ্য।

 

হ্‌জ্ব পালন কালে মক্কা শরীফ অবস্থান কালীন সময়ে হাজীদের কে অত্যন্ত ব্যাস্ত সময় কাটাতে হয়। সে তুলনায় মদিনা শরীফ অবস্থান কালে এই ব্যস্ততা কিছুটা কম থাকে। তাই, এই সময় কালে মদিনা শরীফের বিভিন্ন দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থান সমুহ পরিদর্শন করার সুয়োগ পা��"য়া যায়।

 

প্রাক ইসলাম যুগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরব। রাসুলে করীম (সঃ) হিজরতের পর এই শহরের নাম হয় মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর, সংক্ষেপে এখন বলা হয় মদিনা। মদিনা শরীফ রাসুলুল্লাহ (সঃ) এ আশ্রয়ভুমি।। মসজিদে নববীর স্থান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত ��" মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) উষ্ট্রী কতৃক চিহ্নিত।এই মসজিদকে কেন্দ্রে করে এক সময় ইসলামী রাষ্ট্র,ইসলামী সভ্যতা,সংস্কৃতি এবং বিশ্বের দিকদিয়ে সত্যের প্রচার ��" প্রসার ঘটেছে।এখানে ধর্ম ,সমাজ��" রাজনীতি এক সাথে আলোচিত হত।তখন মসজিদে নববী আন্তর্জাতিক ইসলামী রাজধানী হিসাবে ভুমিকা পালন করেছে। এই সময় মসজিদটি একই সাথে কমিউনিটি সেন্টার, বিচারালয় ��" ধমীয় স্কুল হিসাবে কাজ করত। মদিনার এই মসজিদ ইসলামের প্রথমিক যুগে ইসলামের পা��"য়ার হাউজ ছিল।গুরুত্বের দিকদিয়ে মক্কার মজজিদুল হারাম শরীফের পরই মসজিদে নববী।

 

মদিনায় অবস্থান কালে প্রথম এবং প্রধান কাজ হচেছ মজজিদে নববীতে দৈনিক পাঁচ ��ওয়াক্ত নামাজ একাদিক্রমে ৪০ ��ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা) এবং নবীজীর পবিত্র র��"জা শরীফ জিয়ারত করা।

 

 

 

 

600px-Madina_Haram_at_evening_.jpg

 

 

 

মসজিদে নববীঃ

 

 

মসজিদে নববী বা নবীজীর মসজিদের বর্তমান আয়তন ১৬৫০০০ বর্গমিটার। এই মসজিদে এক সাথে ১০ লাখ মসল্লী নামাজ আদায় করতে পারে।এই মসজিদের ১০টি অতি উচু মিনারের মধ্যে ৬টির উচ্চতা ৯৯ মিটার।এই মসজিদের ভুগর্ভস্থ দোতলা কারপার্কে প্রায় ৪৪০০ গাড়ী পার্কসহ ��"জুর সুব্যাবস্থা আছে।বর্তমান মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ ,সুদৃশ্য মিনার,চলন্ত ছাদ, সুন্দর কারুকাজ, বিশাল আয়তন ইত্যাদি একদিনে হয়নি। বর্তমান এই অবস্থায় আসতে একাধিক সংস্কার কর্মসূচি গৃহিত হয় যা এখন��" চলমান আছে। তাই, প্রথমে এ মসজিদের ইতিহাস জেনে নেয়া যাক।

 

মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় যে স্থানে হজরত মোহাম্মদ (সঃ) অবস্থান করেছিলেন তার পাশেই তিনি মসজিদে নববী প্রতিষ্�� া করেন ৬২২ খৃষ্টাব্দে।প্রথমে মূল মসজিদটি ছিল উন্মুক্ত স্থানে উচু ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্�� িত। মসজিদ ঘরটি ৩০X৩৫ মিটার আয়তাকার আকারে তাল গাছের খুটি ��" মাটির দেয়া‌ল ঘেরা ছিল। এই মসজিদ ঘরের ৩টি দরজা ছিল। দক্ষিনদিকের দরজার নাম ছিল বাব রহমাহ, পশ্চিম দিকের দরজার নাম বাব জিবরিল এবং পূর্বদিকের দরজার নাম বাব আল নিসা।

 

মসজিদ প্রতিষ্�� ার প্রথমদিকে মসজিদের কিবলা দক্ষিন মুখী জেরুজালেমের দিকে নির্ধারিত ছিল।মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর হজরত মুহাম্মদ (সঃ) ১৬/১৭ মাস জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দিসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। অতপরঃ সুরা বাকারার ১৪৪ নং আয়াতের মাধ্যমে তাঁকে কাবা শরীফের দিকে মুখ বা কিবলা করে নামাজ আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়।কিবলা পরিবর্তনের এই নির্দেশ পা��"য়ার পর মসজিদে নববীর কিবলা পরিবর্তন করে কাবা মুখী করা হয়। মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পা��"য়ায় প্রতিষ্�� ার সাত বছর পর ৬২৯ সালে মসজিদটির আয়তন দ্বিগুণ করা হয়।

 

পরবর্তী মুসলিম শাসকগণ এই মসজিদের সম্প্রসারন ��" উন্নয়ন কাজ অব্যহত রাখেন।

 

উমাইয়া খলিফা আল ��"য়ালিদ ইবনে আবদ আল মালিক ( ৭০৫-৭১৫) মসজিদের পুরানো কা�� ামো ভেঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (দঃ) এর সমাধি অন্তভূক্ত করে বৃহত্তর পরিসরে মসজিদ পুনঃনির্মান করেন । পাথরের ভিত্তি ��" খুঁটির উপর সেগুন কা�� ের তৈরী ছাদ বিশিষ্ট এই মসজিদটির আয়তন ছিল ৮৪ X ১০০ মিটার। গ্রীক ��" মিসরীয় কারুশিল্পীদের দিয়ে দেয়াল মোজাইক করা হয়। এ সময়, মসজিদ অঙ্গনের চারপাশে চারটি মিনারসহ গ্যালারী এবং কিবলার দিকের দেয়ালে একটি মেহরাব তৈরী করা হয়। তখন থেকে মসজিদে মিনার প্রথা শুরু হয়।৭৭৮ থেকে ৭৮১ সালের মধ্যে আব্বাসীয় খলিফা আল মাহদি আল ��"য়ালিদ মসজিদটির দক্ষিণ দিক ভেঙ্গে সম্প্রসারন করে পূর্ব ��" পশ্চিম দিকের দেয়ালে আটটি করে এবং উত্তর দিকের দেয়ালে চারটি করে মোট বিশটি দরজা যোগ করেন।

 

মামলুক সুলতান কালোয়ান এর শাসন আমলে নবীজীর (দঃ)বাড়ি ��" সমাধির উপর একটি গম্বুজ ��" বাব আস সালাম দরজার বাইরে ��"জুর জন্য পানির ফোয়ারা তৈরী করেন। ১৪৮১ সালে বজ্রপাতে মসজিদটির একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুলতান কাইটবে পূর্ব , পশ্চিম ��" কিবলার দিকের দেয়ালসমূহ পুনঃনির্মান করেন।

 

অটোমান সুলতানগণ ১৫১৭ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সময় পর্যন্ত মদিনা শাসন করেন। এ সময়কালের শাসকগন��" মসজিদটির পুনঃনির্মান ��" উন্নয়নে তাদের অবদান রাখেন।

 

সুলতান সূলাইমান দি ম্যাগনিফিসেন্ট ( ১৫২০-১৫৬৬) মসজিদের পূর্ব ��" পশ্চিম দেয়াল পুনঃনির্মান করেন ��" মসজিদের উত্তর পূর্ব কোণে একটি মিনার বানান যা আল সুলাইমানিয়া নামে পরিচিত। তিনি এই সময় হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মিহরাবের পাশে আর একটি মিহরাব যোগ করেন । এছাড়া , নবীজীর বাড়ি ��" সমাধির উপর নতুন একটি গম্বুজ স্থাপন করে তা পাতলা সীসার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত করে তাতে সবুজ রং লাগান। আমরা এখন নবীজীর (দঃ) সমাধির উপর সবুজ রংয়ের গম্বুজই দেখতে পাই।

 

অটোমান সুলতান আবদুল মেসিড এর শাসন আমলে ( ১৮৩৯-১৮৬১ ) হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর সমাধি, মিহরাব , মিম্বার ��" সুলাইমানের মিনার ছাড়া পুরো মসজিদটি পুনর্গ�� ন করা হয়।

 

এই সময় মসজিদের সীমানা উত্তরে আরো বৃদ্ধি করা হয় ��" দক্ষিণের ইবাদতের জায়গা দ্বিগুণ করে মিহরাব , বাব আল সালাম ��" মোহাম্মদ (দঃ) এর সমাধির উপরের গম্বুজ ছাড়া অন্যান্য এলাকার ছোট ছোট গম্বুজগুলি কুরআনের আয়াত ��" ১৩ শতকের বিখ্যাত আরবী কবি বশিরির কবিতার লাইন দিয়ে সাজানো হয়। কিবলার দিকের দেয়াল কুরআনের আয়াত হাতে লিখে ( এরাবিক ক্যালিগ্রাফি) উজ্জ্বল টাইলস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। মসজিদের নামাজের জায়গা ��" বারান্দার মেঝে মার্বেল ��" লাল পাথর দিয়ে মোজাইক করাসহ পশ্চিম দিকে ৫ম মিনার (আল মজিদিয়া ) বানানো হয়।

 

১৯৩২ সালে সৌদি রাজবংশ প্রতিষ্�� ার পর হজরত মোহাম্মদ (দঃ) এর মসজিদে একাধিক বড় ধরণের সংস্কার কাজ করা হয় । ১৯৫১ সালে বাদশাহ ইবনে সৌদ মসজিদের স্থাপনাগুলি উচ্ছেদ করার আদেশ দেন যাতে করে পূর্ব ��" পশ্চিমের নামাজের ঘরের সাথে সরু কংক্রিটের স্তম্ভ বা থাম দিয়ে নতুন উইং যু্‌ক্ত করা যায় । পুরানো থামগুলি কংক্রিট দিয়ে শক্তিশালী করাসহ তামার পাত দিয়ে থামের সামনের দিক মোড়ানো হয়। সুলেমানিয়া ��" মজিদিয়া মিনার দু’টি প্রতিস্থাপন করা হয়। তাছাড়া , মসজিদের উত্তর পূর্বে ��" উত্তর পশ্চিমে দুটি নতুন মিনার স্থাপন করা হয় । পশ্চিম দেয়াল বরাবর একটি লাইবেÝির নির্মান করা হয় এই সময়েই।

 

মুসল্লি সংখ্যা বেড়ে যা��"য়ায় ১৯৭৩ সালে বাদশাহ ফয়সল বিন আবদুল আজিজ মসজিদের পশ্চিম পাশ সম্প্রসারন করে নামাজের এলাকা পাঁচগুণ বৃদ্ধি করেন।

 

সর্বশেষ বাদশাহ ফাহাদের আমলে সংস্কার কর্মসূচির আ��"তায় মসজিদের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে একত্রে ১০ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । একই সাথে মসজিদে সর্বাধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে এই মসজিদটি এক অনুপম সৌন্দর্যের আধার।

 

মদিনা মুনা��"রায় মসজিদে নববী ছাড়া��" শহরের মধ্যে ��" আশেপাশে অনেক মসজিদ রয়েছে । তারমধ্যে যে সব মসজিদে নবী করিম (দঃ) অথবা তাঁর সাহাবীরা নামাজ পড়েছেন সেগুলি যিয়ারত করা মুস্তাহাব । এসব মসজিদের বেশ কিছু এখন��" আবাদ রয়েছে এবং অনেকগুলি অনাবাদী ��" বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নবী করিম ( দঃ) এর আমলের নির্মাণ রীতির উপর কোন মসজিদ বর্তমানে নেই। এসব মসজিদ অনেকবার পুনঃনির্মিত ��" সংস্কার হয়েছে। কিন্তু যেহেতু জায়গা একই ---এজন্য বরকত ��" রহমতের নিদর্শন এখন��" বিদ্যমান।

 

তাই পা��ঠকদের পরিদর্শনের সুবিধার্থে নিচে এসব ঐতিহাসিক মসজিদগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো।

 

মসজিদে কুবাঃ

 

এটি ইসলামী জগতের সর্বপ্রথম মসজিদ। এটি হজরত মুহাম্মদ (দঃ) এর নিজ হাতে বানানো। মসজিদ উল হারাম , মসজিদে নববী ��" মসজিদ উল আকসার পরেই মসজিদে কুবার সম্মান। এখানে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করলে একটি ��"মরাহ পালনের স��"য়াব পা��"য়া যায় ( আহমেদ , নয়ীম )

 

মসজিদে নববীর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত এই মসজিদের দূরত্ব মসজিদে নববী থেকে ৩·২৫ কিঃ মিঃ । নবী করীম (সঃ) মক্কা মুকাররমা থেকে হিজরত করে মদিনা মুনা��"রায় আগমন করে বনি আমর বিন আউফ গোত্রে তিন দিন অবস্থান করেন। এই সময় তিনি সাহাবীদের সাথে নিয়ে নিজের হাতে মসজিদে কুবা তৈরী করেন। হজরত মুহাম্মদ (দঃ) প্রায়ই মসজিদে নববী থেকে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। বর্তমান এই মসজিদে মহিলাদের নামাজের জন্য আলাদাস্থান সংরক্ষিত আছে। মসজিদে কুবা বর্তমানে এক অনন্য স্থাপত্য কর্ম হিসাবে গন্য।

 

মসজিদে কিবলাতাইনঃ

 

এ মসজিদ মদিনার উত্তর পশ্চিমে আকীফ উপত্যকার কাছে একটি টিলার উপর অবস্থিত। মসজিদে নববী থেকে এ মসজিদের দূরত্ব ৩.৫০ কিঃ মিঃ। কেবলা বদলের ঘটনাটি এই মসজিদে ঘটায় একে মসজিদে কিবলাতাইন বা দুই কেবলার মসজিদ বলা হয়। এই মসজিদের মিহরাব প্রথমে বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী ছিল। এই মসজিদ থেকে তখনকার কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস এর দিকে যোহরের নামাজ পড়ার সময় রাসূল (দঃ) এর কাছে ��"হী আসে যে , তুমি এখনই এই অবস্থায় কাবার দিকে মুখ করে বাকী নামাজ আদায় করো। এ সময় তিনি চার রাকাত ফরয এর দুইরাকাত নামাজ শেষ করেছিলেন । আল্লাহ’র আদেশ পা��"য়া মাত্র তিনি কাবা শরীফের দিকে মুখ ফিরিয়ে বাকী দু’ রাকাত নামাজ শেষ করেন। সুরা বাকারার ১৪২-২৪৫ নং আয়াতগুলিতে এই ঘটনার বর্ননা আছে।

 

মসজিদে জুম্মাঃ

 

কুবার নতুন রাস্তার পূর্ব দিকে যানূন্‌া উপত্যকায় মসজিদে নববীর দক্ষিণদিকে এই মসজিদটি অবস্থিত। এখানে বনি সূলাইম গোত্রের লোকেরা বসবাস করতো। হজরত মুহাম্মদ (দঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় এই স্থানে জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করেন ( যেখানে বর্তমানে মসজিদে জুম্মা অবস্থিত )। এখানেই তিনি সর্বপ্রথম জুম্মার নামাজ আদায় করেন । পরবর্তীতে এই স্থানে মসজিদে জুম্মা নির্মান করা হয়।বর্তমানে এই মসজিদ একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

 

মসজিদে গামামাঃ

 

বর্তমানে মসজিদে নববীর সবচেয়ে কাছের মসজিদগুলির মধ্যে মসজিদে গামামা অন্যতম। মসজিদে নববীর দক্ষিণ পশ্চিম সীমানায় এই মসজিদটি অবস্থিত। নবীজীর (দঃ) আমলে এই মসজিদটির স্থান খোলা প্রান্তর ছিল। নবী (দঃ) সাধারণত এখানে দুই ঈদের নামাজ আদায় করতেন। বৃষ্টির অভাবে মানুষ জন একবার খুবই কষ্ট পাচ্ছিলো। রাসুল (দঃ) তখন এই মসজিদের স্থানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়েন। এই নামাজের পর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আরবী শব্দ গামামার অর্থ মেঘমালা । এই কারনে এই মসজিদের নাম করণ করা হয় মসজিদে গামামা।

 

এই মসজিদটি আরো একটি কারণে বিখ্যাত । তাহলো আবিসিনিয়ার ন��" মুসলিম বাদশাহ নাজ্জাশীর মৃত্যুর পর নবীজী (দঃ ) তাঁর গায়েবানা জানাজার নামাজ এই স্থানে পড়ান। নাজ্জাশী চি�� ির মাধ্যমে রাসূল (দঃ) এর দ্বীনের দা��"য়াত পেয়ে খ্রীস্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলাম কবুল করেছিলেন। এই মসজিদের অন্য নাম মসজিদে মুসাল্লা। সৌদি সরকার বর্তমানে এই মসজিদের চারপাশে গোলাপী রঙের সুন্দর দেয়াল নির্মানকরে তাতে ঐতিহ্যবাহী সৌদিখেজুর গাছের গুড়ি ��" হারিকেনের আলোক বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।

 

 

মসজিদে আবু বকর , মসজিদে ��"মর ��" মসজিদে আলীঃ

 

মসজিদে গামামার খুব কাছে মাত্র ৪০ গজের মধ্যে আরো তিনটি ছোট মসজিদ আছে। যেমন মসজিদে আবু বকর , মসজিদে ��"মর ��" মসজিদে আলী । ইসলামের তিনজন খলিফার নামে এই তিনটি মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। খেলাফতকালে এই তিন মহান খলিফা এই সব মসজিদের স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।

 

মসজিদে সিজদাঃ

 

মসজিদে নববীর উত্তর দিকে বর্তমান বাসস্ট্যান্ডের পাশে মসজিদটির অবস্থান।

 

এই মসজিদে নামাজ পড়ার সময় একবার নবীজী (দঃ) দীর্ঘ সময় ধরে সিজদায় ছিলেন বলে এই মসজিদের এই নামকরণ হয়েছে। এই মসজিদের অন্য নাম মসজিদুল বাহীর। এই মসজিদে এখনো পাঁচ ��"য়াক্ত নামাজ আদায় হয়। মদীনায় অবস্থানকালে মসজিদে নববীর কাছে হ��"য়ায় সহজেই নফল নামাজ আদায় করে নে��"য়া যায়।

 

মসজিদে ইমাম বুখারীঃ

 

মসজিদে নববীর কাছের মসজিদগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদে নববীর উত্তর দিকে এর অবস্থান। মানুষের লেখা বইয়ের মধ্যে যার লেখা সবচেয়ে নির্ভুূল বলে মনে করা হয় সেই বিখ্যাত ইমাম বুখারী (রাঃ ) এই মসজিদে বসে অনেক হাদীস সংকলন করেন বলে জানা যায়।

 

খন্দক প্রান্তরের মসজিদঃ

 

খন্দক প্রান্তরের পাশে অতি অল্প পরিসরে পাশাপাশি ছয়টি মসজিদ আছে। এগুলো হচ্ছেঃ

১· মসজিদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)

২· মসজিদে ��"মর (রাঃ)

৩· মসজিদে হজরত আলী (রাঃ)

৪· মসজিদে ফাত্তাহ

৫· মসজিদে সালমান ফারসী (রাঃ) ��"

৬· মসজিদে সৈয়দাতুন নিসা ফাতেমা (রাঃ)।

এ সব মসজিদ পরিদর্শন করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম ।

 

আল্লাহ সকলকে মদিনা শরীফ জিয়ারত করার তৌফিক প্রদান করুন, আমীন

[email protected]

 

http://www.sonarbang...aziShafiqulAzam

 

 

বইয়ের নাম : চলার পথে দেখা না দেখা

লেখক : কাজী শফিকুল আযম

প্রাপ্তিস্থান : খোশরোজ কিতাব মহল , ১৫ বাংলাবাজার , পুরানো ঢাকা ও এস এস মার্ট , ল্যাব এইডের বিপরীতে , ধানমন্ডি , ঢাকা

মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...