Jump to content
IslamicTeachings.org

" রাজকীয় মক্কা টাওয়ারে ” পৃথিবীর বৃহত্তম ঘড়ি


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

:assalam:

 

 

 

 

“ রাজকীয় মক্কা টাওয়ারে ” পৃথিবীর বৃহত্তম ঘড়ি

 

 

 

AD201010708199992AR.jpg

 

কাজী শফিকুল আযম

 

 

পবিত্র কাবা ঘরের পাশে ৫০ মিটার দূরত্বে গগনচুম্বি ইমারত- “রাজকীয় মক্কা টাওয়ারে”-পৃথিবীর বৃহত্তম চর্তুমূখী ঘড়ি ৩৮০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে।

 

শত বছরের বেশী সময় ধরে দক্ষিন পূর্ব লন্ডনের পার্কে অবস্থিত মানমন্দিরকে বিশ্বের ঘড়ির সময় নির্ধারণের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু গ্রিনিচ মান সময়কে চ্যালেন্জ জানাবে মক্কার এই বিশাল ঘড়ি –যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন মুসলমান তাদের ঘড়ির সময় নির্ধারন করতে পারবে বলে আশা করে।অনেকেই মনে করে যে, এই ঘড়ি শুধু দেখার জন্যই একটি ঘড়ি হবে না –ভবিষ্যতে এটিই হবে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় টাইম জোন।

 

ঘড়ির প্রত্যেক দিকে আরবীতে “ আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ” লেখাটি ২১০০০ রঙিন লাইটের কারনে ১৭ কি: মি: দূর থেকেও দেখা যাবে ।পাঁচবার নামাজের সময় ঘড়ির ফ্লাস লাইট জ্বলার মাধ্যমে মক্কার অধিবাসিদের নামাজের সময় সম্পর্কে সংকেত প্রদান করবে। চর্তুমুখী এই ঘড়ির ব্যাস ১৫১ ফিট। এই ঘড়ি আরবী ষ্ট্যান্ডার্ড সময় অনযায়ী অর্থাৎ মক্কার স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা হবে যা জিএমটি থেকে ৩ ঘন্টা এগিয়ে থাকবে।

 

বাদশাহ আব্দুল্লাহর নির্দেশে সৌদি সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এই ঘড়ি বানানো হচ্ছে। বাদশাহ আব্দুল আজিজ এন্ডোমেন্ট প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই টাওয়ার নির্মান করা হচ্ছে যার উচ্চতা হবে ৬০১ মিটার (পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ার দুবাই এর বুর্জ আল খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার)। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই টাওয়ারে বৃহত্তম এই ঘড়িসহ চন্দ্র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও ইসলামিক মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে। তাছাড়া, এই টাওয়ারেই ৭৬ তলা বিলাসবহুল হোটেলও থাকবে। অনলাইনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত নভেম্বর ২০১০ সালে এই ঘড়ির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।

 

 

 

 

 

প্রতিদিন টিভিতে পবিত্র কাবাঘরের নামাজ দেখানোর সময় এই ঘড়ির অবস্থান আমরা সকলে দেখতে পাই যার ছবি উপরে ছাপা হল। তবে পবিত্র কাবা ঘরের একদম কাছে এরকম বিলাসবহুল হোটেল বানানো ও সেখানে ঘড়ি বসানো নিয়ে বিতর্ক চলছে । অনেকের মতে এতে কাবা ঘরের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে ।

 

 

 

 

 

বিখ্যাত ঘড়ি বিগবেন এর সাথে রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের ঘড়ির তুলনামূলক চিত্র নিম্নে দেয়া হল:

 

রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের ঘড়ি- বিগবেন ঘড়ির তুলনায় প্রায় ছয়গুন বড় হবে।

 

 

বিগবেন মক্কা টাওয়ার

 

 

 

clock_1694458c.jpg

 

 

 

রাজকীয় মক্কা টাওয়ারের অবস্থান: পবিত্র মক্কা নগরী,

টাইম জোন: + ০৩০০ জিএমটি,

ঘড়ির ব্যাস- ১৫১ ফিট,

উচ্চতা -১৯৭২ ফিট,

ঘড়ির প্রস্তুত কারক: দার আল হান্দাস, প্রিমিয়ার কম্পোজিট টেকনোলজি।

অন্যদিকে,

বিগবেন- বিখ্যাত ঘড়ি টাওয়ার এর অবস্থান দক্ষিন পূর্ব লন্ডনে,

টাইম জোন: + ০০০০ জিএমটি,

 

ঘড়ির ব্যাস- ২৩ ফিট,

উচ্চতা -৩১৫.৯ ফিট,

ঘড়ির প্রস্তুত কারক: অগাষ্ট পিউজিন,

 

নির্মান : ১৮৫৯ সাল।

 

 

 

অনেকে মনে করেন যে, রাজকীয় মক্কা ঘড়ি নির্মানের ফলে গ্রিনিচ মান সময় থেকে আলাদা ভাবে ঘড়ির সময় নির্ধারণে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। মক্কা সময়কে জিএমটি সময়ের বিকল্প হিসাবে তারা ভাবতে শুরু করেছে এবং তাদের এই ভাবনার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হল পৃথিবীর কেন্দ্রে পবিত্র মক্কার অবস্থান। দাবী করা হয় যে, পবিত্র নগরী মক্কা হল শুন্য চুম্বকত্ব জোনে অবস্থিত –ফলে এখানে কোন চুম্বক শক্তির প্রভাব নেই যার কারণে এখানে যারা বাস করে বা ভ্রমন করে তাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং তারা দীর্ঘজীবী হয়।

 

 

বইয়ের নাম : চলার পথে দেখা না দেখা

লেখক : কাজী শফিকুল আযম

প্রাপ্তিস্থান : একুশে বই মেলা , খোশরোজ কিতাব মহল , স্টল নং ২৩৩ ও এস এস মার্ট , ধানমন্ডি , ( ল্যাব এইডের বিপরীতে )

মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র

 

-কাজী শফিকুল আযম

[email protected]

মোবাইল : ০১৭৪৫১৩০১০০

Link to comment
Share on other sites

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...