Jump to content
IslamicTeachings.org

বন্দী শিশু ক্রীতদাসরা মুক্তি কি পাবে ? [Shocking Image]


MUSLIM WOMAN

Recommended Posts

Asalamu'alaikum

 

 

 

Warning : Shocking Image

 

 

 

Feni%2BPictur%2B%2528Hasina%2529-10-4-2011_2.jpg

 

 

[ নির্যাতিতা কাজের মেয়ে হাসিনা - হায় কী দূর্ভাগ্য এ বালিকার । দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে নামের মিল থাকলেও ‘ মানুষ ‘ হিসাবে ন্যূনতম সম্মান , ভালবাসা বা কোন মানবিক আচরণ এই হাসিনার ভাগ্যে জোটে নি। শুধু তাই নয় , চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে , এই আশ্বাসে নির্যাতনকারী গৃহকত্রীর মায়ের কাছেই দিয়ে দেয়া হলো একে । জানি না , এরপর কী ঘটেছে । ফলো – আপ খবর আমাদের দেশে খুব কমই হয় ।

 

কী জীবন এই গরীব শিশুদের । আল্লাহর রাসূল صلى الله عليه وسلم সাহাবীদের সাবধান করে বলতেন , তোমার অধীন যে আছে , তার দোষ যদি তুমি এই দুনিয়ায় মাফ না করো , তাহলে কিভাবে আশা করবে , আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমার দোষ মাফ করবেন ? মনে হয় , কিছু মানুষের ধারণা , তারা এত বেশী সওয়াব অর্জন করে ফেলেছেন যে বেহেশতে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যপার মাত্র । তাই বেত দিয়ে কাজের শিশুকে ক্ষত – বিক্ষত করার সময় বা কাপড় পুড়িয়ে ফেললে শাস্তি হিসাবে ইস্ত্রি দিয়ে ছোট্ট একটি শরীর পুড়িয়ে ফেলার সময় এদের মনে একবারের জন্যও আল্লাহর শাস্তির ভয় জাগে না । আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করুন , আমীন ]

 

 

কাজের লোক ছাড়া এদেশের উচ্চবিত্ত তো বটেই , মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদেরও একটা দিন কাটানো সত্যি কঠিন । যাদের উপর আমরা এতটা নির্ভর করি , যারা বাসায় না থাকলে প্রিয়জনদের নিয়ে আরামে দিন কাটাতে পারবো না , তাদের আমরা কতটুকু ভালবাসি ? তাদের সুখের দিকে কতটুকু নজর দেই ? মানুষের সামান্য সম্মানটুকু কি তাদের আমরা দেই , না সামান্য বেতনের বিনিময়ে তাদেরকে কেনা দাস মনে করি ?

 

 

আমাদের পরিচিত পরিবেশেই এমন অনেকে আছেন যাদের বাসায় কখনোই কাজের লোক থাকে না । মাঝেমাঝে খুব অবাক লাগে – বাংলাদেশের মত গরীব একটি দেশে এত অভাবী মানুষ থাকার পরেও কেন কিছু কিছু বাসায় কাজের লোক থাকে না ? রহস্যটা কী ?

 

 

 

 

 

বাসায় কাজের লোক থাকে না কেন ?

 

 

• কাজ বেশী করানো

• বিশ্রাম না দেয়া ,

• পেট ভরে খেতে না দেয়া ,

• বেতন কম , সেই তুলনায় কাজ বেশী ,

• নৃশংস ও অমানবিক আচরণ যেমন - কাজে সামান্য ভুল হলে গরম ইস্ত্রি বা গরম খুন্তি দিয়ে গায়ে ছ্যাঁকা লাগানো , গরম পানি ঢেলে গা পুড়িয়ে দেয়া , কথায় কথায় গালিগালাজ – মারধর করা ,

• কাজ ছেড়ে দিতে চাইলে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা , পুলিশের ভয় দেখানো ,

• বাড়িতে যেতে না দেয়া – অনেক সময় বছরের পর বছর বাসায় আটকে রেখে কাজ করানো হয় । একদিনের জন্য কাজ থেকে ছুটি মেলে না বা বাড়ি থেকে কেউ আসলে দেখা করতে না দেয়া ইত্যাদি ।

 

 

 

 

কাজের লোক না ক্রীতদাস ?

নানা কারনে একটি পরিবারের বদনাম হয়ে গেলে অনেক চেষ্টা করেও সে বাসার জন্য কাজের লোক পাওয়া যায় না । তখন তারা জঘন্য সব কৌশল গ্রহণ করে । যেমন , খুব গরীব শিশুর অভিভাবকের হাতে অগ্রিম বেতন হিসাবে একবারে দশ – বারো হাজার টাকা দেয় । এভাবে তারা শিশুটিকে অনেকটা কিনে ফেলে । এরপর যদি শিশুটি পরে কাজ করতে না চায় , তখন বলা হয় বেতনের টাকা , ঢাকায় আসার খরচ - এসব আগে ফেরত দাও । যেহেতু গরীবের সংসারে টাকা নানা দরকারে খরচ হয়ে যায় , গরীব মা –বাবা এত টাকা জোগাড় করতে পারে না , তাই বাধ্য হয়ে শিশুটিকে নানা মারধর সহ্য করে ঢাকার ছোট ছোট ফ্ল্যাট বাসায় বন্দী জীবন কাটাতে হয় । কখনো বাবা বা কোন আত্মীয় দেখা করতে আসলে নানা অজুহাতে তাদের সাথে শিশুটির দেখা করতে দেয়া হয় না , বলে দেয়া হয় আর যেন কেউ না আসে , বেতনের টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে । অনেক সময় নতুন বাসায় গিয়ে শিশুর অভিভাবককে ঠিকানা দেয়া হয় না । ঢাকার ঘরে ঘরে এমন অনেক ‘ ক্রীতদাস ‘ আছে , যারা পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ।

 

 

সম্প্রতি নতুন আইন হয়েছে যে , বারো বছরের কম বয়সী কাউকে ঘরে কাজের লোক হিসাবে রাখা যাবে না । তবে এসব আইন পালন করা হচ্ছে কি না , তা কে দেখবে ? তাছাড়া , বাস্তবতা হলো গরীব দেশের মা – বাবারা বাধ্য হয়েই শিশুকে কাজ করতে পাঠান । তাই আইন করে বাসায় নাবালক কাজের লোক রাখা বন্ধ করা যাবে না , তবে তদারকির কোন ব্যবস্থা করা কি যায় না ?

 

 

ঘরে ঘরে কাজের লোকদের অবস্থা যাচাই করা জরুরী হয়ে পড়েছে :

সরকারের পক্ষ থেকে বাসায় বাসায় গিয়ে শিশু গৃহকর্মীদের অবস্থা যাচাই করা এখন সময়ের দাবী । প্রতি ঘরে যাওয়া সম্ভব না হলে বাসার কাজের লোককে স্থানীয় কোন স্কুল , এনজিও বা থানায় তিন মাসে কমপক্ষে একবার সশরীরে হাজির করার নিয়ম করতে হবে । যে বাসায় সে আছে , সেখানে সে থাকতে চায় কি না , তাকে সেখানে মারধর করা হয় কি না , ঠিকমত খেতে দেয়া হয় কি না - এসব জানার জন্য স্কুল শিক্ষিকা বা শিশু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে ।

 

হ্যাঁ , এই নিয়ম চালু হলে আমরা যারা সুবিধাভোগী মানুষ , তাদের ঝামেলা বাড়বে । এছাড়া অনেক তথাকথিত শিক্ষিত , আধুনিক মানুষদের মুখোশও খুলে যাবে কিন্ত্ত বন্দী জীবন থেকে অনেক শিশু ক্রীতদাস হয়তো মুক্তি পাবে ।

 

 

ছবি : http://desher-khobor.blogspot.com/2011/ ... st_10.html

Link to comment
Share on other sites

  • 1 year later...

Create an account or sign in to comment

You need to be a member in order to leave a comment

Create an account

Sign up for a new account in our community. It's easy!

Register a new account

Sign in

Already have an account? Sign in here.

Sign In Now
×
×
  • Create New...